প্রকাশিত: ১৬/০১/২০১৮ ৮:১৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:০১ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী ফিরিয়ে নেওয়ার পর অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকার মতো ৩০ হাজার জনের জন্য একটি ক্যাম্প তৈরি করছে মিয়ানমার। প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের সেখানে সাময়িকভাবে রাখার পর অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের চলমান আলোচনার মধ্যেই সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিল। খবর রয়টার্স অনলাইনের।

গত বছর ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বর্বর সামরিক অভিযান শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। কিন্তু মিয়ানমার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানো নিয়ে দুই দেশ ঢাকায় বসে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার পর এটিই তাদের প্রথম বৈঠক। প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার সোমবার এক খবরে জানিয়েছে, প্রত্যাবাসন চুক্তির মাধ্যমে যারা দেশে ফিরবে, তাদের সাময়িকভাবে রাখার জন্য হ্লা পো খায়ুংয়ে একটি ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। ১২৪ একর জমির ওপর ৬২৫টি ভবন তৈরি করা হবে, যেখানে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা থাকতে পারবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...